আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ফিলিস্তিনের রাফায় ইসরাইলি অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই আদেশের পর প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ বলেন, বন্দীদের ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনে রাফাসহ যেকোনো স্থানে লড়াই চালিয়ে যেতে এবং ইসরাইলিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, আমরা বেসামরিক নাগরিকদের সর্বোচ্চ সুরক্ষার জন্য যেকোনো স্থানেই আন্তর্জাতিক আইন মেনে কাজ চালিয়ে যাব। এই প্রতিশ্রুতি আমাদের দায়বদ্ধতার স্থান থেকে, আইসিজের কারণে নয়।
ইসরাইলের সংস্কৃতি ও ক্রীড়ামন্ত্রী মিকি জোহার বলেছেন, বন্দীরা দেশে ফিরে না আসা পর্যন্ত রাফায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য প্রত্যক্ষ ঝুঁকি উল্লেখ করে আইসিজে আজ এই নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া মানবিক সহায়তার প্রবেশের জন্য মিশরের সঙ্গে রাফা সীমান্ত ক্রসিং খুলে দিতে বলেছেন এই আদালত। পাশাপাশি তদন্তের জন্য ও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনকে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার নির্দেশও রয়েছে এর মধ্যে। এসব নির্দেশ পালনের অগ্রগতি জানিয়ে ইসরায়েলকে এক মাসের মধ্যে আইসিজেতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গাজায় এবং বিশেষ করে রাফায় ইসরায়েলের অভিযান বন্ধে আইসিজে’র কাছে জরুরি ব্যবস্থা চেয়ে গত সপ্তাহে আবেদন করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এছাড়া এর আগে দেশটি আন্তর্জাতিক এই আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেছিল।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছে ৩৫ হাজার ৮০০ জন। সেইসঙ্গে আহতের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয় এক হাজার ১৩৯ জন।
কাতারভিত্তিক সংবাদ আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র দুই সপ্তাহের লড়াইয়ে নয় লাখের বেশি ফিলিস্তিনি ঘরছাড়া হয়েছে। তারা এখন পানি, খাবার, ওষুধ এবং আশ্রয়ের অভাবে দিন কাটাচ্ছে।